ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গাজায় ইসরায়েলি নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ নড়াইলে সৌদি প্রবাসী হত্যা হামলা-ভাঙচুরের পর পুরুষশূন্য গ্রাম প্রেস সচিবের মন্তব্যকে ‘অযাচিত’ বলছে ভারত রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘কাফন মিছিল’ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা অনৈক্যের সুর রাজনীতিতে বাড়ছে অবিশ্বাস দলিতদের পরিবর্তনে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- আনু মুহাম্মদ মালয়েশিয়ায় অভিযানে ১৬৫ বাংলাদেশি আটক জাবির থিসিসের ফলাফল বিপর্যয়ের অভিযোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি চীনের অর্থায়নে পঞ্চগড়ে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি যশোরে আগুনে পুড়লো ফার্মের ৪৪ হাজার মুরগি ঈদের পর থেকে বাজারে সবজির দাম বাড়তি চার মাসের সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল কেনেন মা! মানহীন কিন্ডারগার্টেনে ধ্বংস শিশুর ভবিষ্যৎ টিসিবির জন্য কেনা হবে ৫৪২ কোটি টাকার তেল সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ ৫ জন দুদকের হাতে গ্রেফতার টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার প্রতিবাদ করায় ইলিয়াস আলী গুম হন- রিজভী কনটেইনারবাহী জাহাজ চলবে দুই বন্দরে

পাইপলাইন চালু কবে হবে জানে না বিপিসি

  • আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ১২:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ১২:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
পাইপলাইন চালু কবে হবে জানে না বিপিসি
জ¦ালানি তেল পরিবহনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাইপলাইন কবে চালু হবে জানে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। সরকার সাগর পথে লাইটারিং করে তেল পরিবহন বন্ধের জন্য ২০১৫ সালে প্রকল্প নিলেও দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে ৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায় এসপিএম পদ্ধতি চালু হয়। এর মাধ্যমে মহেশখালী সমুদ্র উপকূল থেকে সাগরের দিকে ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি পয়েন্টে গোলাকার রিং বসানো হয়। সেই রিং থেকে সাগরের নিচে দিয়ে দুটি পাইপলাইন এসেছে মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকার স্টোরেজে। ওই স্টোরেজ থেকে সাগরের উপকূল ঘেঁষে মাটির নিচ দিয়ে পাইপলাইনে পতেঙ্গার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে তেল আসার কথা। ওই দুটি পাইপলাইনের একটি দিয়ে ডিজেল ও অন্যটি দিয়ে ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) আসার কথা।
পাইপলাইনে তেল পরিবহনের জন্য গত বছরের জুলাইয়ে একটি জাহাজ প্রথম নোঙর করা হয়েছিল। পরে গত মার্চে আরো একবার পাইপলাইনে তেল পরিবহনের পর আর পরিবাহিত হয়নি। তখন থেকেই তা অলস বসে আছে। তা আবার কবে চালু হবে বিপিসির কেউ তা নিশ্চিত বলতে পারছে না।
বিপিসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পাইপলাইনে জ¦ালানি তেল পরিবহন বন্ধ থাকায় সরকারকে আপাতত সাগর পথে তেল পরিবহনে প্রাইভেটাইজেশনের দিকে যেতে হচ্ছে। সেজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ইতোমধ্যে একটি বিদেশি কোম্পানির জাহাজকে ভাড়া করেছে। আর বিপিসি অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য তেল পরিবহনে জাহাজ খুঁজছে। কারণ সৌদি আরব ও আবুধাবি থেকে মাদার ভেসেলে (বড় জাহাজ) আসা পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত তেলগুলো কুতুবদিয়ার পরে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না।
কুতুবদিয়া থেকে লাইটারিং (ছোট জাহাজ) করে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ এতোদিন এই তেল পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসতো। কিন্তু সম্প্রতি বিস্ফোরণ ও দুর্ঘটনায় জাহাজ দুটি তেল পরিবহনব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে যায়। এখন অগত্যা কুতুবদিয়ায় অপেক্ষারত মাদার ভেসেল থেকে তেল খালাস করতে বিদেশি জাহাজ ভাড়া করা হয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ অয়েল ট্যাংকার মালিক অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় প্রায় ৪০টি অয়েল ট্যাংকার জাহাজ অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচল করলেও সেগুলো সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ টন পরিবহন করতে পারে।
অন্যদিকে বিএসসির জাহাজগুলো পরিবহন করত প্রায় ১১ থেকে ১২ হাজার টন তেল। দেশে তেল পরিবহনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আরেকটি সংস্থা আওতায় ১২০টি পেট্রোলিয়াম অয়েল ট্যাংকার থাকলেও সেগুলোর সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা প্রায় দুই হাজার টন। কিন্তু দেশে লাইটারিং উপযোগী অয়েল ট্যাংকার নেই। বিএসসিতে দেশের বাইরে থেকে তা চার্টার্ড (ভাড়া) করতে হবে। তাহলে চাহিদা অনুযায়ী জাহাজ পাবে বিএসসি। সূত্র আরো জানায়, গত বছর এসপিএম কমিশনিং হওয়ার পর একবার পাইপলাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে তেল আনা হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিতভাবে মাদার ভেসেল থেকে এসপিএমে (কুতুবদিয়ায় সাগরে একটি পয়েন্টে পাইপ রয়েছে। সেখান থেকে তলদেশ দিয়ে পাইপ মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আনার প্রক্রিয়াকে বলা হয় এসপিএম) তেল খালাসে দক্ষ ব্যবস্থাপনা দরকার। সেজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ওই ঠিকাদার তেল খালাসের কাজটি সম্পন্ন করবে। আর ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে বিপিসির লোকজন ধীরে ধীরে খালাস প্রক্রিয়াটি শিখবে।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) চালু না হওয়া পর্যন্ত বিএসসি চার্টার্ড করা জাহাজেই তেল পরিবহন করবে। অন্যদিকে পাইপলাইন সচল হওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়-য়া জানান, গত বছর এসপিএম কমিশনিং হওয়ার পর একবার পাইপলাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে তেল আনা হয়েছিল। কিন্তু নিয়মিতভাবে মাদার ভেসেল থেকে এসপিএমে (কুতুবদিয়ায় সাগরে একটি পয়েন্টে পাইপ রয়েছে। সেখান থেকে তলদেশ দিয়ে পাইপ মহেশখালী হয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে আনার প্রক্রিয়াকে বলা হয় এসপিএম) তেল খালাসে দক্ষ ব্যবস্থাপনা দরকার।
এজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ওই ঠিকাদার তেল খালাসের কাজটি সম্পন্ন করবে। সেই ঠিকাদারের কাছ থেকে বিপিসির লোকজন ধীরে ধীরে খালাস প্রক্রিয়াটি শিখবে। তবে ঠিকাদার নিয়োগ হতে আরো ছয় মাস লাগতে পারে। আগামীতে জ¦ালানি তেল পরিবহনের বিষয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, বিএসসি দেশীয় ও বিদেশি কোম্পানির কাছে জাহাজ চাইবে। তাদের দেয়া দর পর্যালোচনা করা হবে। যাদের দর জুতসই মনে হবে, তাদের জাহাজ দিয়ে লাইটারিং করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হবে দেশীয় কোম্পানিকে সুবিধা দিতে। কারণ দেশীয় টাকা সাশ্রয় হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স